তামিমকে ছাড়াই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষনা।
দলে ওপেনার মাত্র দুজন। টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান ৫জন। অধিনায়ক সাকিবের বাইরে বিশেষজ্ঞ স্পিনার ২জন। পেসার ৫জন। সাকিব আর মিরাজের পরিচয় যে অলরাউন্ডার, তা না বললেও চলে।
বিশ্বকাপ হবে প্রায় দেড়মাস ধরে। এত বড় এবং লম্বা টুর্নামেন্টে তৃতীয় ওপেনারের অনুপস্থিতি ভোগাতে পারে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন (সহ অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান, তানজিদ হাসান, তানজিম হাসান ও মাহমুদউল্লাহ।
ভিডিওতে দেখা যায়, ড্রেসিংরুমে বসেছিলেন মুশফিকুর রহিম। জার্সির বক্সটা তাঁর হাতে ধরিয়ে দিতেই হাসি ফুটল মুখে। জার্সি নেড়েচেড়ে দেখার পর বললেন, ‘আস সালামু আলাইকুম। আমি মুশফিকুর রহিম। ইনশআল্লাহ আমি এবার বিশ্বকাপে পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করব। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
বিসিবির প্রকাশ করা ভিডিওর শুরুতেই সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে নিজের জার্সি হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখে বললেন, ‘আমি সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করব।’
২০০৭, ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন সাকিব।
বিসিবির ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা
আজ রাত ৮টা ১৬ মিনিটে বিসিবির ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সি উন্মোচন করে দলে সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড়েরা। জার্সি হাতে খেলোয়াড়েরা ভিডিওতে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন (সহ অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান, তানজিদ হাসান, তানজিম হাসান ও মাহমুদউল্লাহ।
তামিম ইকবালকে নেওয়া হয়নি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। মাহমুদউল্লাহকে নেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপ দলে।
বিশ্বকাপ খেলতে আগামীকাল ভারতের উদ্দেশে উড়াল দেবে বাংলাদেশ দল।
৫ অক্টোবর থেকে ভারতে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১০টি দলের মধ্যে শুধু বাংলাদেশ বাদে সবগুলো দলই নিজেদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণায় তামিম ইকবাল নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে, তা দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের অভিষেক বিশ্বকাপে বর্তমান প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের দলে অর্ন্তভুক্তি নিয়েও প্রচুর বিতর্ক হয়েছিল। ২০০৭ বিশ্বকাপের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন ছিল। সেবার দল ঘোষণার আগেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল—উইকেটকিপিংয়ে কে? মুশফিকুর রহিম না খালেদ মাসুদ?
২০১১ বিশ্বকাপের আগে চোটে পড়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। নিজেকে ফিট দাবি করলেও নির্বাচকেরা সেবার মাশরাফিকে বিশ্বকাপ দলে রাখেননি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মাশরাফির সেই কান্না এখনো মনে রেখেছেন অনেকেই। এ নিয়ে তখন বেশ আলোচনাও হয়েছিল।
২০১৫ বিশ্বকাপের আগে আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে ৮ জানুয়ারি জেলে গিয়েছিলেন পেসার রুবেল হোসেন। পরে জামিন নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিলেন রুবেল। এরপর গত বিশ্বকাপে তাসকিন আহমেদের দলে সুযোগ না পাওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। চোট থেকে সেরে ওঠা তাসকিনের ম্যাচ ফিটনেস নেই বলেছিলেন নির্বাচকেরা। আর এ কারণে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে অঝোরে কেঁদেছিলেন তাসকিন।